শেখ রাজীব হাসান:
সম্প্রতি গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও
সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগে
মাধ্যমে প্রচারিত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি প্রকাশের পর থেকে
গাজীপুরের স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায়
সড়ক অবরোধ,বিক্ষোভ মিছিল চলমান রয়েছে। অপরদিকে গাজীপুর সিটি মেয়র আলহাজ্ব
জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে প্রচারিত ভিডিওটি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৫ নং
ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মামুন মন্ডলের ইন্দনে সংগঠিত
হয়েছে ফেইজবুক মেসেঞ্জারের তথ্য আদান প্রদানের এমন ছবিও ফেইজবুকে ভাইরাল
হয়েছে। গাজীপুরে যেন বিরূপ পরিবেশ সৃষ্টি না হয় ।সে জন্য বিষয়টি দ্রুত
তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় সে জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের
সভাপতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী
শেখ হাসিনা’র হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২১ইং দুপুরে ফেইজবুকে
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ষড়যন্ত্রমূলক,বানোয়াট বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে নিজ আইডি
থেকে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে। ভিডিও বার্তায় মেয়র জাহাঙ্গীর আলম
বলেন,আসসালামু আলাইকুম,বিভিন্ন ফেইজবুকে বা ইউটিউবে সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে আমার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের নামে এবং আমার নাম
সেখানে জড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা,বানোয়াট কথা তারা ছেড়েছে।আমার এবং
আমাদের বিশেষ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাননীয় মন্ত্রী,মাননীয় সংসদ
সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নাম ধারণ করে
আমাকে কিভাবে ছোট করা যায়,কীভাবে প্রশ্ন বিদ্ধ করা যায় সেই কৌশল হিসেবে
আমার প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন কথা এডিট করে,নকল করে,সেইসব প্রচার মাধ্যমে
ইউটিউব এবং ফেইজবুকে তারা ছেড়েছে।এই জন্য আমি দুঃখের সাথে বলতেছি যারা এই
ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত যারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ব শেখ
হাসিনার দেশ ও আমাদের গাজীপুরের সকল উন্নয়নের কাজে অর্থ দিয়ে সহযোগীতা
করছেন সেই মুহূর্তে সরকারকে,আমাকে এবং আওয়ামী লীগকে আমাদের নেতৃত্বকে
বিভিন্ন ভাবে অপজিট পার্টীকে প্রশ্ন তৈরি করে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন অপকৌশল
তৈরি করেছে। সেজন্য যারা এসকল কাজ করেছে আমি তীব্র নিন্দা জানাই। আমার
অস্তিত্ব আমার জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান তার প্রতি শ্রদ্ধা এবং
ভালোবাসা,তার নাম শুনে আর ছবি দেখে,আমি যেহেতু আগেই বলেছি আমার জন্ম
হয়েছে স্বাধীনের অনেক পরে, আমার জাতির পিতা শহীদ হোয়ার ও অনেক পরে আমার
জন্ম। সেজন্য আমি আমার জাতীর পিতাকে অনুস্বরণ করে দেখে বুঝে আমি বাংলাদেশ
ছাত্রলীগ করে ছাত্র জীবন থেকে শুরু করি। তারপরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ব শেখ হাসিনা আমাকে আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন করার জন্য দোয়া দিয়েছেন।
সকল মানুষের এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকলের সহযোগীতায় মেয়র নির্বাচিত
হয়েছি। এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে এই শহর
করার জন্য সহযোগীতা করেছেন। সেইজন্য এই উন্নয়ন যেন ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়।
সেইজন্য একটি অপর মহল এবং বিরোধী দলীয় উসকানি,পায়তারার মধ্যে পরে আমাদের
শহর এবং আমাদের আওয়ামী লীগকে ক্ষতিগ্র¯’ করার জন্য আমার অস্তিত্ব আমার
জাতির পিতার নাম নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যাচারণ করছে। এজন্য আমি আবারো তীব্র
নিন্দা জানাই এবং যারা যারা এই অন্যায় কাজ করেছে আমি আইনের সহযোগীতা
নিয়ে, যারা বিজ্ঞ আইনজীবী আছেন তাদের পরামর্শ নিয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থা
নিব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আমাদের স্থানীয নেতৃবৃন্দ সকলের সহযোগীতায়
একটি পরিকল্পিত শহর আমরা করতে চাই। এজন্য আমি মনে করি যারা মিথ্যা এবং
অপপ্রচারকারী বিভিন্ন মেইজবুকে মিথ্যা কথা গুজব ছড়াচ্ছেন আমি অনুরোধ করবো
দয়া করে এসব ডিলেট করেন। মিথ্যা অপবাদ না দিয়ে আসুন আমরা সকলে একসাথে কাজ
করি ।এখন কাজ করার সময় আমাদের সকলের দায়িত্ব হচ্ছে দেশ এবং আমাদের নগরকে
সমৃদ্ধিশালী করা। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে
বাস্তবায়ন করতে চাই। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।